কাবা এবং মসজিদ আল হারাম দখলের কালান্তক ইতিহাস–দ্বিতীয় পর্ব

Posted by Arya ঋষি  |  at  April 18, 2019 No comments

দ্বিতীয় পর্ব



আলোচিত মেহেদির পূর্বাপর এবং বাকি বৃত্তান্ত
এর আগে প্রস্তুতি হিসেবে সে এই পূর্বালোচিত মেহেদী বা প্রেরিত পুরুষ হিসেবে মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাহ্তানী বলে মৃদুভাষী একটি তরুণ ধর্ম প্রচারক কে চিহ্নিত করে।এই ক্ষেত্রে হাদিসে সেই প্রেরিত পুরুষের নাম বা তাঁর বাবার নাম এবং এই লোকটির ক্ষেত্রেও একই হওয়া একটি বড় হাতিয়ার হয়।একই সাথে বর্ণিত মেহেদির উন্নত কপাল ,রোগা গড়ন ,উন্নত নাসিকা ইত্যাদি মিল একটি মোক্ষম সুযোগ এনে দিলো। প্রথমে কাহতানি নিজেকে দেখতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে জুহাইমান এর মোহে আবিষ্ট হয়ে সত্যিই নিজেকে ওই ভাবে ভাবতে শুরু করে।এই সখ্যতা আরো পোক্ত হয় যখন তার বড় বোন কে জুহাইমান তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করে।
অভিযানের আগে কাবা একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে ইমাম মেহেদী কে শত শত মক্কাবাসী স্বপ্নে দেখেছে শীর্ষ মসজিদের মিনারে ইসলামের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।একই সাথে দলের অভ্যন্তরে এই ইমামের বিষয়ে কোনো সন্দেহের প্রশ্ন রাখার অবকাশ সে রাখে নি।একদিকে যখন জুহাইমান আর তাঁর দল প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই সময়ে সৌদি বাদশা পুত্র এবং এক অর্থে ক্ষমতার কর্নধার ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ ছিল তিউনিসিয়ায় আরব লীগের একটি বৈঠকের সফরে আর প্রিন্স আব্দুল্লাহ ,জাতীয় সুরক্ষার প্রধান ছিল মরোক্কো সফরে।দেশের দেখভাল করার জন্য ছিল বৃদ্ধ এবং অসুস্থ রাজা খালেদ আর রক্ষামন্ত্রী প্রিন্স সুলতান।
সৌদি রাজশক্তির তৎপরতা :
সেই সকালেই খবর পেয়ে শেখ নাসের রাজা খালেদকে এই খবর দেন।রাজা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সর্বোচ্চ কর্তা প্রিন্স নাইফ বিন আব্দুল আজিজ কে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আদেশ করে।পরবর্তিতে মক্কার প্রশাসক প্রিন্স ফাওয়াজ বিন আব্দুল আজিজ,গুপ্তচর বিভাগের প্রিন্স তুর্কি অকুস্থলের কাছে চলে আসে।তুর্কি স্বীকার করে যে জুহাইমান আর তার গোষ্ঠী তুলনামূলক ভাবে একটু ছোট দল হওয়ার কারণে এদের উপরে নজর রাখা হলেও সামগ্রিক কোন বিপদের আশংকা বা এই ধরনের কোনো কান্ড করতে পারে তা তারা ভাবতেও পারে নি।
সৌদি পুলিশ প্রথমে এই দখলের গুরুত্ব বুঝতেই পারে নি।সকালে একজন পুলিস অফিসার বিষয়টি দেখতে একটি জিপ নিয়ে এগিয়ে গেলে দখলদার বাহিনীর গুলিতে আহত হয়।একই ভাবে অন্য দিক থেকে আসা অন্য পুলিস অফিসারদের গাড়ি গুলোতেও ভিতর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে।এই পর্যায়ে ভিতরে থাকা সাধারন মানুষদের ঢাল বানিয়ে এই দলটি ক্রমশ আক্রমন চালিয়ে যায় সৌদি পুলিশের উপরে।এই পর্যায়ে আহত বা নিহত এই সব মানুষদের দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও তাদের উপরে একই ভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে ভিতর থেকে।মৃত্যু হয় এক পুলিস অফিসারের এবং ভিতরের এক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা এক কিশোরের।ইমামের মতো আরো কিছু সৌদি নাগরিক পিলারের আড়াল ধরে ধীরে ধীরে একটি জানালার কাঁচের ফাঁক দিয়ে একদল রোগা পাতলা লোক বাইরে পালাতে স্বক্ষম হয়।মসজিদ চত্ত্বরে থাকা সৌদি নারী পুরুষদের জোর করে এই ঘোষিত ইমামের পক্ষে শপথ পাঠ করানো চলতে থাকে।
প্রিন্স তুর্কি মসজিদের পাশের হোটেল সৌবরাতে এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠক করতে এলে,হোটেলের দরজাতে হাত দেওয়া মাত্র একটি বুলেট তার দিকে ছুটে আসে,কপাল গুনে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দরজার কাজ চুরমার করে দেয়।তড়িঘড়ি তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।এই বুলেট এসেছিল মসজিদের আব্দুল আজিজ দরজার জোড়া মিনারের থেকে।হোটেলটি মসজিদের থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দুরে থাকায় ওই দখলদার বাহিনীর স্নাইপারের আওতায় ছিল আর সৌদি কর্তিপক্ষ তা আগে একদম আন্দাজ করতে পারে নি।
সৌদি উপলব্ধি এবং পরবর্তী কাজকর্ম:
এইবার সৌদি শাসক গোষ্ঠী বুঝতে পারে এদের প্রস্তুতি বা শক্তি অনেক বেশি।এরপরে এই কাবা এবং শীর্ষ মসজিদের চারপাশে একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে।বিশেষ রক্ষী বাহিনী ,বিশেষ ছত্রী বাহিনী আর বিশেষ স্বশস্ত্র দল কে মোতায়েন করা হয়।সমস্যা হলো,পাল্টা আক্রমন করার ক্ষেত্রে,যেহেতু সব চেয়ে পবিত্র এই স্থানে কোনো অস্ত্র ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া বা পাল্টা আক্রমন এতো সহজ ছিল না,এর সাথে গোটা মুসলিম দেশগুলোর মানুষের এবং নিজের দেশের মানুষের অনুভুতির প্রশ্ন জড়িত ছিল।এই কারণে দরকার ছিল উলেমাদের থেকে ধর্মীয় নির্দেশ।এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভারপ্রাপ্ত উলেমাদের দল দুই দিন সময় নিয়েছিল।এই দুই দিন সৌদি প্রশাসন প্রস্তুতি নিতে থাকে আর একই সঙ্গে পুরো জায়গাটির উপরে নজর রাখা শুরু করে।
হেলিকপ্টারের চক্কর এবং জঙ্গি বিমানের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়।নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটে আসে,ভাগ্যক্রমে একজন চালক রক্ষা পায় তার বদলে সঙ্গের বেতার ব্যবস্থার গায়ে গুলি লাগার কারণে।এই সময়ে নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়ার কারণে দেখা যায় ভিতরে স্বশস্ত্র পুরুষই না,বেশ কিছু নারী ও অস্ত্র নিয়ে ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।পরবর্তিতে সৌদি প্রশাসন জানতে পেরেছিল এই জুহাইমানের সাথে তার স্ত্রী আর বাকিদের অনেকের পরিবার বা সন্তান ও এসেছিল এই অভিযানে।সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টি অনেক জটিল হয়ে ওঠে মোকাবিলার জন্য।
পরেরদিন সরকারী ভাবে অতি ভোরে রিয়াদ রেডিও থেকে ঘোষণা করা হয় এই কাবা এবং সংলগ্ন মসজিদ দখলের আর দখলকারী গোষ্ঠির কোনো এক ব্যক্তিকে সেই মেহেদী ঘোষণার কথা।ইতিমধ্যেই অবশ্য মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের সূত্র ধরে এই খবর গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গিয়েছিল।এই দ্বিতীয় দিনে সেই সময়ের নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি ভয়াবহ অসত্য খবর দিয়ে ফেলে যাতে শিরোনাম ছিল, “মক্কা মসজিদ দখল করা বন্দুকধারীর দল সম্ভবত ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠী।
বিশ্বজুড়ে নতুন অশান্তির সূচনা:
এই খবর এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরী করলো,কারণ এর কিছু দিন আগেই ইরানের শাহ কে অপসারণ করে মোল্লা গোষ্ঠির বা আরো নির্দিস্ট করে বললে শিয়া পন্থী খোমেইনি ক্ষমতা দখল করে আমেরিকার দুতাবাসে ৫২ জন মার্কিন নাগরিক এবং বাকিদের আটকে রেখেছিল।এরপরে এর প্রত্যুত্তর দিতে খোমেইনি পাল্টা দায়ী করে আমেরিকাকে আর চারিদিকে পল্লবিত হতে থাকে গুজবের নানান বিষয়।
এরপরেই একদল লোক পাকিস্থানে মার্কিন দুতাবাসে আক্রমন করে সেটি মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।দুজন মার্কিন এবং দুজন পাকিস্থানি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী এই ঘটনায় মারা ও যায়।পরবর্তিতে একই কারণে খোমেইনীর অভিযোগের ভিত্তিতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে একই ভাবে মার্কিন দুতাবাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়,এই ঘটনা এতটাই সুদুরপ্রসারী হয়েছিল যে পরবর্তী ২৫ বছর ওই দেশে আর মার্কিন কোনো দুতাবাস স্থাপনা হয় নি।
এই সবের মাঝে, ঘটনার দু দিন পরে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের প্রধান প্রিন্স নাইফ সব জল্পনা শেষ করে পরিস্কার জানায় আমেরিকা বা ইরান অথবা অন্য কোনো দেশ এতে জড়িত না।এই ঘটনা সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ একটি গোষ্ঠির কাজ যারা ‘পথভ্রষ্ট‘ হয়েছিল।
এই সময়ের মধ্যে একাধিকবার এই মসজিদ বা পুরো স্থাপনার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেও সফল হয় নি সৌদি বাহিনী।এই সময়ে পুরো অভিযানের নেতৃত্ব দিতে নিয়ে আসা হয় সৌদি রাজার স্বশস্ত্র ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফালেহ আল দাহরি কে।ঠিক হয় ,মারওয়া দরজা উড়িয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকবে এই বাহিনী।এই সময়ে এক কঠিন অবস্থার সামনে পড়েছিল সৌদি শাসকরা।ইমাম মেহেদির তত্বে বিশ্বাসী একাংশ ধরে নিয়েছিল এই বিরোধিতা আসছে শয়তানের পক্ষ থেকে এই সাজোয়া গাড়ির বহর নিয়ে।অর্থাৎ একটা জন সমর্থন গড়ে ওঠার অবস্থা তৈরী হয়েছিল এই ইমাম মেহেদীকে কেন্দ্র করে যাতে শাসক গোষ্ঠী শয়তানের দোসর হিসেবে ভুমিকা নিতে যাচ্ছিল।এই পর্যায়ে একটি বুদ্ধিমানের মতো কাজ সৌদি প্রশাসন করে,পুরো অভিযানের নানান পর্যায়ে এরা সংবাদ মাধ্যমকে নিজেদের কাজের বিষয়ে জানানো বা সঙ্গে রাখার কাজ শুরু করে ফলে বিষয়টি অনেক স্বচ্ছ হয়ে ওঠে।
প্রথমদিনে সাজোয়া গাড়ি নিয়ে এগিয়ে গেলেও তীব্র গুলির কারণে শারীরিক ভাবে মসজিদের আশেপাশে নেমে অবস্থান নেওয়ার কোনো সুযোগ পায় নি সৌদি বাহিনী।এরপরের দিন কৌশলগত ভাবে আসেপাশের উচু অবস্থাপনা গুলোতে পাল্টা দূর পাল্লার বন্দুকবাজ মোতায়েন করে সৌদি বাহিনী।এইবার উচ্চ অবস্থান থেকে পাল্টা গুলি চালিয়ে অনেকটাই নিস্ক্রিয় করে ফেলতে পারে ওই দখলদার বাহিনীর স্নাইপার গুলো কে।একই সাথে আকাশ থেকে নিরীক্ষণের মাধ্যমে সৌদি বাহিনী জানতে পারে উত্তর ভাগের মারওয়া দরজা অপেক্ষাকৃত কম প্রতিরোধের জায়গা হতে পারে।
এই পর্যায়ে ২২ তারিখ,ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ, সৌদি গোলন্দাজরা কম মাপের বিস্ফোরক গোলা ছুড়তে থাকে,এটি স্রেফ ওই অবস্থানরত প্রতিরোধকারীদের নজর অন্যদিকে নিয়ে আরো একটি বাহিনীকে সাফা-মারওয়া পথের পূর্ব দিকে অবস্থান নিতে করা হয়েছিল।এই কাজে অর্ধেক পথ এগিয়ে গেলেও তীব্র গুলির কারণে বেশ কিছু সেনার মৃত্যু হলে বাহিনী আবার পিছু হটে যায়।একই ভাবে আগে বলা সেই মারওয়া দরজার দিকে বিস্ফোরক সহযোগে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতে পারলেও সফল হলো না।
ফতোয়ার জোরে নতুন শক্তি প্রাপ্তি:
অবশেষে,নভেম্বর ২৩তারিখে ইসলামের ইতিহাসে সূচনা থেকে এই প্রথম,জুম্মার নামাজ পড়া হলো না এই শীর্ষ মসজিদে।দিনের শেষে উলেমারা ফতোয়া দিলো “এই জঙ্গিদের অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পর্ন করার আবেদন করা হোক,তা না মানলে কোরানের আল বাকারাহর বিধান অনুযায়ী যদি আল মসজিদ আল হারাম এ আক্রমন না করার এবং যদি একান্তই আক্রান্ত হও তবে তাদের হত্যা করার আদেশের ভিত্তিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হোক”
এইবার এই ফতোয়ার আনুকূল্যে একটা শক্ত অবস্থান পেলো সৌদিশক্তি।এতদিন বাইরে থেকে প্রত্যাঘাত করলেও এবার ধর্মীয় সমর্থনে ভিতরে মারার অধিকার একটা নির্দিস্ট দিক নির্দেশ দিলো।প্রথমে ওই ফতোয়ার নির্দেশ ধরে আত্মসমর্পর্ন করার কথা ঘোষনা করা হয়,কোনো সদুত্তর না পাওয়ার পরে মিনারগুলোতে রকেট নিক্ষেপ করা হয় উপরে থাকা দুরপাল্লার(স্নাইপার)রাইফেলধারী লোকদের নিস্ক্রিয় করতে।একই সাথে সেই আগের বলা সাফা-মারওয়া পথের বাইরের দিকের আগেই ভেঙ্গে দেওয়া দরজা দিয়ে গোলা দাগা শুরু করে।
অবশেষে,শনিবার, নভেম্বর ২৪ তারিখ এই সাফা মারওয়া পথের দখল নিতে পারে সৌদি বাহিনী।জুহাইমান আর তার দল উপরের অংশ থেকে পিছু হটে আশ্রয় নেয় মসজিদের মাটির নিচের ঘরগুলোতে।এই জায়গায় সর্বসাকুল্যে ২২৫টী ঘর পরস্পরের সাথে সংযোগ যুক্ত ছিল।পর্যাপ্ত অস্ত্র,গুলি আর প্রয়োজনীয় খাদ্য নিয়ে আরো এক সপ্তাহ লড়াই করার অবস্থায় ছিল বলে ধারণা করা হয়।বোমা,গুলি এমনকি নানান কার্পেট বা গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে সব রকম ভাবে সৌদি বাহিনী কে বাধা দিয়ে যায় জুহাইমানের বাহিনী।এই সময়ে কাদানে গ্যাস দিয়ে এদের বের করে নিয়ে আসার কাজ ও ব্যর্থ হয়।ভূগর্ভে থাকার কারণে এই গ্যাস আবার মাটির উপরের দিকেই উঠতে থাকে আর এই লোকগুলো মুখে জলে ভিজানো কাপড় লাগিয়ে রাখার কারণে কোনো প্রতিকুল অবস্থায় পড়ে নি বরং উল্টে এই গ্যাস মাটির উপরে থাকা সৌদি বাহিনীর জন্য বিরূপ অবস্থা তৈরী করে।এই পর্যায়ে সমস্যা আরো প্রকট হয় কারণ মসজিদে নামাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোটা মুসলিম বিশ্বে প্রভূত সম্মানহানি হতে থাকে।গোটা পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলোতে এই আজান সম্প্রসার বা এর প্রতীকী একটি মূল্য ছিল যা ধাক্কা খায়। সৌদি শাসকদের অত্যন্ত অস্বস্তির কারণ হতে থাকে এই সময়টি। সৌদি শাসকের সেনা একের পর এক উপায়ে চেষ্টা করে যেতে থাকে এদের উৎখাত করতে তবে সফলতা পাচ্ছিল না এই অসংখ্য কক্ষ আর ভূগর্ভের কক্ষে এদের অবস্থানের কারণে।আরো একটি কারণ ছিল , সৌদি শাসক পাখির চোখের মতো লক্ষ্য করেছিল এদের পালের গোদা কে জীবন্ত ধরার জন্য।অতঃপর,এই অস্বস্তিকর অবস্থা এবং বিশ্বজুড়ে চাপ অবসান করতে সৌদি রাজা সাহায্যের জন্য ফরাসি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে।
পরবর্তী পর্বে এই দখলের অন্তিম পরিনতি এবং বিষ বৃক্ষের সূচনার প্রাসঙ্গিক কথা থাকবে।ততক্ষণ আবার একটি চা পানের বিরতি।
এই পর্বের তথ্যসূত্র:
১. ইতিহাসের পাতা থেকে https://medium.com/@haramainarchives/makkah-grand-mosque-seizure-1979-ae55625315a5
২. যে অসত্য খবর পরিবেশন করার পরে পৃথিবীতে এক নতুন অশান্তি শুরু হয়েছিল https://www.nytimes.com/1979/11/21/archives/mecca-mosque-seized-by-gunmen-believed-to-be-militants-from-iran.html
৩. স্রেফ ছবির হিসেবে দেখলেও পর্ব ধরে দেখতে পারেন এই প্রতিবেদন গুলো https://www.youtube.com/watch?v=Z7kzj-zPoOM
৪. একই ভাবে পরের পর্ব https://www.youtube.com/watch?v=JufzBz6gbnA
৫. তিন নম্বর পর্ব https://www.youtube.com/watch?v=oomQ6IyWyg4

About the Author

Write admin description here..

Get Updates

Subscribe to our e-mail newsletter to receive updates.

Share This Post

Related posts

0 Comments:

Tags

Text Widget

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation test link ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

Blog Archive

© 2013 Arya Rishi. WP Theme-junkie converted by Bloggertheme9Published..Blogger Templates
Blogger templates. Proudly Powered by Blogger.
back to top