All Stories

আবির্ভাব সময় অর্থাৎ কল্কি অবতার কখন আসবে তা বিভিন্ন পুরাণ অনুসারে।।
( কল্কি অবতার কখন পৃথিবীতে আসবে)
🔷১. ভাগবত পুরাণ( ১.৩.২৮)ঃ
" অথাসো যুগসন্ধ্যায় দস্যু প্রয়াসু রাজেষু।
জনিতা বিষ্ণুযশসো নাম্না কল্কির্জগৎপতিঃ"।
অনুবাদঃ তারপর যুগসন্ধিকালে ( কলি যুগের শেষে সত্যযুহের শুরুতে) ; অর্থাৎ কলিযুগের অন্তে নৃপতিরা যখন দস্যুপ্রায় হয়ে যাবে,তখন ভগবান কল্কি অবতার নামে বিষ্ণুযশ নামক ব্রাক্ষ্মণের পুত্ররূপে অবতরণ করবেন।
🔷২. পদ্মপুরাণ ( উত্তরখন্ড, ২৪২ অধ্যায় শ্লোক ৮-১০)
"" কলেদির্ব্য সহস্রাব্দপ্রমানস্যান্তপাদয়োঃ।
শম্ভলগ্রামকং প্রাপ্য ব্রাক্ষ্মণঃ সঞ্জনিষ্যতি।।
এই শ্লোকে উক্ত " কলেঃ" ও ""সহস্রাব্দপ্রমানস্যান্তপাদয়োঃ"" শব্দটিতে "" অস্য অন্তপাদয়ো" শব্দগুলো থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়ে যে, কলিযুগের অন্তে বা শেষ দিকে ভগবান শম্ভলগ্রামে ব্রাক্ষ্মণ গৃহে জন্মগ্রহণ করবেন।
🔷৩. ভবিষ্যপুরাণ (২য় খন্ড ১৬/২৮)ঃ ভগবৎ - অবতারাদি বৃতান্ত বর্ণণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- " কলিযুগান্তকে....... কল্কি চ ভবিতাসম্যহম্।।
অর্থাৎ কলিযুগের অন্তে আমি কল্কি অবতার রূপে অবতার রূপে অবতীর্ণ হব।।
🔷৪. বৃহৎনারদীয় পুরাণঃ বৃহন্নারদীয় পুরাণ ( ২/৪০)-
" যুগান্তে পাপিনোহশুদ্ধাংশ্ছিত্ত্বা তীক্ষ্মাসিধারয়া।
স্থাপয়ামসা যো ধর্মং কৃতাদৌ তং নমাম্যহম"।।
অনুবাদঃ যিনি কলিযুগের অন্তে বা শেষে অশুদ্ধ পাপীদের তীক্ষ্ণ খড়্গ দ্বারা ছেদন করে #সত্যযুগের ধর্ম সংস্থাপন করেন,সেই কল্কি অবতারকে নমস্কার করি।।
👉 শব্দটি খেয়াল করুন "" যুগান্তে"" অর্থাৎ কলিযুগের অন্তে বা শেষে কল্কি অবতার আসবে।।
🔷৫.বিষ্ণুপুরাণ (৪.২৪.২৬)ঃ
" শ্রৌতস্মার্তধর্মে বিপ্লববমত্যন্তমুপগতে ক্ষীণপ্রয়াসে।
চ কলাবশেষ জগৎস্রষ্টাশ্চরাচর উত্তরোরদিমরস্যন্তময়স্য সর্বময়স্য ব্রক্ষ্মময়স্যাত্মস্বরূপিনো ভগবতো বাসুদেব স্বাংশঃ সম্ভলগ্রামপ্রধানব্রাক্ষ্মণবিষ্ণুযশসো গৃহে অষ্টগুণৈদ্ধিসমন্তিতঃ কল্কিরূপী জগত্যত্রাবতীর্থ সকলম্লেচ্ছদস্যুদুষ্টাচরণতেচসামশে-ষানামপরিচ্ছিন্নমমাহাত্ম্যশক্তিঃ ক্ষয়ং করিষ্যতি।।
অনুবাদঃ "শ্রৌত ও স্মার্ত ধর্ম অত্যন্ত বিপ্লবপ্রাপ্ত ও #কলিক্ষীণপ্রায় হলে,যিনি চরাচরের গুরু ও আদিভূত, যিনি অন্তময়,সর্বময়,ব্রক্ষ্মময় ও পরমাত্মাস্বরূপ, সেই ভগবান বাসুদেব স্বাংশরূপে শম্ভল গ্রামের প্রধান ব্রাক্ষ্মণ বিষ্ণুযশার গৃহে অষ্টৈশ্বর্যসম্পন্ন, অসীমশক্তি ও মহাত্মাশালী কল্কিরূপে অবতীর্ণ হয়ে ম্লেচ্ছ, দস্যু ও দুরাত্মাদিগের ক্ষয় করবেন।
👉এখানে কলিক্ষীণপ্রায় শব্দটি দেখুন কলিযুগ যখন ক্ষীণ হয়ে আসবে অর্থাৎ শেষ হয়ে আসবে তখন ধর্মের সংস্থাপনের জন্য ম্লেচ্ছ নিধনের মাধ্যমে কল্কি অবতার আসবে।
🔵🔵 এখন কল্কি অবতার কলিযুগের শেষে আসবে এবং ম্লেচ্ছ নিধনের মাধ্যমে পুনরায় সত্যযুগের প্রতিষ্ঠা করবে।।এ ব্যাপারে কল্কিপুরাণ ও অনান্যপুরাণের কথা দেখুনঃ-
🔴১. অগ্নিপুরাণ (১৬/১০)ঃ " ভগবান হরি, কল্কিরূপ ত্যাগ করে, বৈকুন্ঠে গমন করবেন। তখন পুনুরায় সত্যযুগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
🔴২. কল্কিপুরাণ (২৪/৮)ঃ রাজা শশিধ্বজের স্ত্রী সুশান্তা ভগবান কল্কিদেবের আর্বিভাবের মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে বলেছেন--
" আপনার আবির্ভাব সাধুগণের সম্মানবৃদ্ধি, ব্রাক্ষ্মণদিগের অভ্যূথান, দেবগণের রক্ষক,সত্যযুগের পুনঃঅধিকার লাভ,ধর্মের বৃদ্ধি ও কলির নিধন হচ্ছে "।।
🔴. ৩।। এছাড়াও লিঙ্গপুরাণ,ব্রক্ষ্মান্ডপুরাণ, পদ্মপুরাণ ও অনান্য সকল পুরাণ অনুসারে কল্কিঅবতার আসবেন তিনি এসে সত্যযুগ প্রতিষ্ঠা করবেন।
প্রশ্নঃ সত্যযুগ কখন আসবে বা কলি যুগের শেষ কবে হবে?
উত্তরঃ যুগের শেষ কখন হবে তা জানতে হলে আগে আমাদের প্রতিটি যুগের আয়ুষ্কাল সম্পর্কে জানতে হবে।ভাগবত পুরাণের তয় স্কন্ধে বলা আছে।( ছবি নিচে দেওয়া দেখে নিন)
সত্যযুগের আয়ুষ্কালঃ ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার বছর।
ত্রেতাযুগেরঃ ১২ লক্ষ ৯৬ হাজার বছর
দ্বাপরযুগের ঃ ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার বছর
কলিযুগেরঃ ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বছর।
মুমিন ভাইদের বলি যে দাদা কলিযুগের তো সবে মাত্র শুরু হলো অর্থাৎ দ্বাপরযুগ শেষ হলো কৃষ্ণের হাত ধরে আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগে এবং কলি যুগের এখনো বাকি প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার বছর।
হাস্যকর বিষয়টি হলো আপনার অতীতে আসা নবীকেই ভবিষ্যতের কল্কিঅবতার বানায় ফেললেন বাহ্ ভাই বাহ্।
এবারে আমার এই সকল পুরাণের রেফারেন্স খন্ডন করবেন এবং বলবেন যে কল্কি অবতার যে কলিযুগের #শুরুতে আসবে এই কথা আপনি কোথায় পেয়েছেন।
💠 পুরাণ অনুসারে কল্কি ঈশ্বরের দূত নয় ; তিনি স্বয়ং ঈশ্বর, পরমাত্মা বিষ্ণু।
বিভিন্ন পুরাণ অনুসারে এর সপক্ষে বিভিন্ন পুরাণের শ্লোক দেখুনঃ-
♦১.ভাগবত পুরাণ (১২/২/১৭)ঃ"" চরাচরগুরোর্বিষ্ণোরীশ্বরস্যাখিলাত্মনঃ। ধর্মত্রাণায় সাধূনাং জন্ম কর্মাপনুত্তয়ে"।।
অনুবাদঃ হে সুপ্রিয় পরীক্ষিত! সর্ব্যাপী ভগবান বিষ্ণু সর্বশক্তিমান সর্বস্বরূপ হয়ে তিনি বিশ্ব চরাচরের প্রকৃত শিক্ষক, জগৎগুরু।সাধু সজ্জনের ধর্ম রক্ষার জন্য ও তাদের কর্মবন্ধন ছেদন করে জন্ম মৃত্যু আবর্ত থেকে মুক্তি দান হেতু , তিনি স্বয়ং অবতার গ্রহণ করবেন।
💠 এই শ্লোকটি ভালো করে খেয়াল করুন।এখানে বলা আছে চরাচার জগৎের যিনি ঈশ্বর "গুরোর্বিষ্ণোরীশ্বর" ( ১ম লাইনে শ্লোকের #ঈশ্বর শব্দটি দেখুন) সর্বব্যাপী, সর্বশক্তিমান সেই পরমাত্মা বিষ্ণু ধর্ম সংস্থাপন হেতু স্বয়ং অবতার গ্রহণ করবেন।সুতরাং কল্কি দূত নন ; স্বয়ং ঈশ্বর
♦২.ভাগবত পুরাণ (১২/২/১৯)ঃ " অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবত্তং জগৎগতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণাণ্বিতঃ"।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান অষ্টসিদ্ধি ও সকল সদ্ গুণের সর্বশ্রেষ্ঠ আধার।তিনি বিশ্বচরাচরের রক্ষক ও সকলের প্রভু। তিনি দেবদত্ত্ব নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসীন থেকে তরবারি হস্তে দুষ্ট দমন করবেন।
💠 এখানে জগৎপতি বিশ্বচরাচরের রক্ষক ও সকলের প্রভু পরমাত্মা স্বয়ং আসবেন তরবারির দ্বারা দুষ্টদমনে। কোনো দূত নয়।
♦৩. ভাগবত পুরাণ(১২/২/১৬)ঃ "ইথুং কলৌ গতপ্রায়ে জনে তু খরধর্মিণি। ধর্মত্রাণায় সত্ত্বেন ভগবানবতরিষ্যতি।।
অনুবাদঃ হে পরীক্ষিৎ! এর বেশি আর কি বলব! কলিযুগের শেষ প্রান্তে মানুষের স্বভাব গদর্ভসম দুঃসহ হয়ে উঠবে। তারা বস্তুত সংসারের ভারবাহক ও সম্পূর্ণরূপে বিষয়ী হয়ে যাবে। এইরূপ দুঃসহ পরিস্থিতে ধর্মরক্ষা হেতু সত্ত্বগুণ ধারণ করে স্বয়ং ভগবান অবতার গ্রহণ করবেন।
♦৪.ভাগবত পুরাণ (১২/২/২২)ঃ" তেষাং প্রজাবিসর্গশ্চ হুবিষ্ঠ
সম্ভবিষ্যতি।বাসুদেবে ভগবতি সত্ত্বমূর্ত্ত্বৌ হৃদি স্থিতে"।।
অনুবাদঃ তাদের হৃদয় মন্দির পবিত্র হলে সেখানে সত্ত্ববিগ্রহ ভগবান বাসুদেব বিরাজমান থাকবেন যার ফলে তাদের বংশধরগণ পূর্ববৎ বলবান ও সক্ষম দেহধারী হয়ে যাবেন।
💠 এখানে কল্কি অবতার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে এবং কল্কিকে বাসুদেব বলা হইছে। আর এটা আমাদের মনে রাখতে হবে বাসুদেব কথাটি পুরাণে স্বয়ং পরমাত্মা বিষ্ণুর জন্যই লিখা হয়।সুতরাং কল্কিই সেই পরমাত্মা বিষ্ণু ও তিনি স্বয়ং ঈশ্বর ; ঈশ্বরের দূত নন।
♦৫.ভাগবত পুরাণ (১২/২/২৩)ঃ "যদাবতীর্ণো ভগবান্ কল্কির্ধর্মপতির্হরিঃ। কৃতং ভবিষ্যতি তদা প্রজাসূতিশ্চ সাত্ত্বিকী।।
অনুবাদঃ প্রজানয়নরঞ্জন শ্রীহরিই ধর্মের সংরক্ষক। তিনি স্বয়ং প্রভু । সেই শ্রীভগবান যখন কল্কিরূপে অবতরণ করবেন তখনই সত্ত্বযুগের আরম্ভ হবে আর প্রজাগণ স্বাভাবিক ভাবেই বংশপরম্পরায় সত্ত্বগুনসম্পন্ন হয়ে যাবেন।
💠 এখানেও হরি ঈশ্বরের একটি গুণবাচক নাম।আর শ্লোকে কল্কিকে ধর্মপতিহরি বলা হয়েছে।আর শ্লোকে বলা হয়েছে সেই ধর্মের সংরক্ষক ঈশ্বরই কল্কিরূপে অবতরণ করবেন।অর্থাৎ কল্কি স্বয়ং ঈশ্বর।
🔷🔷🔷
এবারে কল্কিপুরাণ থেকে দেখি চলুন।"" কল্কিপুরাণে"" কি বলা হয়েছে কল্কি অবতারের ব্যাপারে ঈশ্বর নাকি ঈশ্বরের দূত ঃ-
🔴🔴প্রথমে কল্কিঅবতারের কারণ দেখুন ঃ-
💠কল্কিপুরাণ (১/২/১-৮)ঃ কলির প্রকোপে অতিষ্ঠ দেবতাদের অনুরোধে ব্রক্ষ্মা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীবিষ্ণুর নিকট গমন করেন এবং শ্রীবিষ্ণু দেবতাদের বলেন যে,""শম্ভল নামক গ্রামে বিষ্ণুযশ নামক ব্রাক্ষ্মণের গৃহে সুমতিনাম্নী ব্রাক্ষ্মণকন্যার পুত্র রূপে শ্রীঘ্রই আমি আবির্ভূত হবো ও কলি ক্ষয় করব।।
💠💠 এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়,যে পরমাত্মা জগৎপতি বিষ্ণু স্বয়ং আসবেন ব্রাক্ষ্মণপুত্র রূপে। কল্কি হয়ে।অর্থাৎ কল্কি স্বয়ং পরমাত্মা বিষ্ণু।
♦♦কল্কিপুরাণ ( ২/৪/১)ঃ ( এখানে সূত জীর প্রশ্নের উত্তরে ভগবান কল্কি তাকে বলছেন নিজের সমন্ধে)
☀ কল্কিরুবাচ...
"কালেন ব্রক্ষ্মণো নাশে প্রলয়ে ময়ি সঙ্গতাঃ।অহমেবাসমেবাগ্রে নান্যৎ,কার্য্যমিদং মম।।২।।
অনুবাদঃ কল্কি কহিলেন। যে সময় মহাপ্রলয় উপস্থিত হইবে,যখন ব্রক্ষাও বিলয় প্রাপ্ত হইবেন,তখন সমুদয় আমাতেই লীন থাকিবে।পূর্বে কেবল আমিই ছিলাম,আর কিছুই ছিল না,ব্রক্ষ্মা প্রভৃতি সমুদায় জীব ও সমুদয় পদার্থ আমা হইতেই সৃষ্ট হইয়াছে।
🌿🌿কল্কি এখানে কি বলছে 👆👆 পড়ুন।আর মগজে সান দিন।
♦ কল্কিপুরাণ(৩/৮/৫)ঃ "নাথ কান্তং জগন্নাথং সর্ব্বান্তর্যামিনং প্রভুম্।কল্কিং নারায়ণং সাক্ষাৎ কথং ত্বং প্রহরিষ্যসি।।
অনুবাদঃ নাথ! যিনি জগতের নাথ জগতের প্রার্থনীয় সর্ব্বান্তর্যামী প্রভু সাক্ষাৎ নারায়ণ, সেই কল্কিকে আপনি কি রূপে প্রহার করিবেন।
💠 এখানে দেখুন "" কল্কি""কে কি বলা হচ্ছে ১. সর্ব্বান্তর্যামী প্রভু তথা নারায়ণ অর্থাৎ 🌿অন্তর্যামী ঈশ্বর।
♦♦ কল্কিপুরাণ(৩/১/৩১-৩৩)ঃ""..... .. কল্কি পরমাত্মকঃ।
কাল স্বভাবসংস্কার- নামাদ্যা প্রকৃতিঃ পরা।যস্যেক্ষয়া সুজত্যন্তুং মহাহহংকারকাদিকান্। যন্ময়য়া জগতযাত্রা সর্গস্থিত্যন্তসঙ্গিতা।
য এবাদ্যঃ ম এবান্তে তস্যায়ং সোহয়মীশ্বরঃ""।।
💠অনুবাদঃ "কল্কিই সেই পরমাত্মা।তার ইচ্ছা অনুসারেই কাল স্বভাব সংস্কার, নাম প্রভৃতির আদিভূত পরম প্রকৃতি, মহতত্ত্ব অহংকারতত্ত্ব প্রভৃতি সমুদয় ব্রক্ষ্মান্ড সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টি- স্থিতি- প্রলয়রূপ জগৎপ্রপঞ্চ তারই মায়া ভিন্ন আর কিছু নয়।তিনি সকলের আদি, তিনিই সকলের অন্ত।তার থেকেই জগতের সমুদয় শুভ সংঘটিত হচ্ছে। সেই ঈশ্বর তিনিই( কল্কি)""।।
🌿🌿 দেখুন ভাল করে কে এই কল্কি। তিনি স্বয়ং ঈশ্বর, পরমাত্মা কোনো দূত নন।
♦ কল্কিপুরাণ( ২/৩/১৭)ঃ" রাজানঃ স্ত্রীত্বমাপন্না পদ্মায়া সখিতাং গতাঃ। দুষ্টুং সমীয়ুঃ স্ত্বরিতাঃ কল্কিং বিষ্ণুং জগৎপতিম্।।
অনুবাদঃ যে সকল রাজা নারীর অবয়ব প্রাপ্ত হইয়া পদ্মা সখী হইয়াছিলেন, তাহারা ত্বরান্বিত হইয়া জগৎপতি বিষ্ণু তথা কল্কিকে দেখিবার জন্য আগমন করিলেন।।
🔵এখানে কল্কি স্বয়ং পরমাত্মা বিষ্ণু ও জগৎপতি।
♦ কল্কিপুরাণ(৩/৪/৩১)ঃ"" ইত্যাশ্বাসকথাঃ কল্কেঃ শ্রুত্বাতৌ মুনিভিঃ সহ। বিস্ময়াবিষ্টহৃদয়ৌ মেনতে হরিমীশ্বরম"।।
অনুবাদঃ মরু দেবাপি ও মুনিগণ, কল্কির এই আশ্বাস বাক্য শ্রবণ করিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হৃদয় হইয়া নিঃসংশয় রূপে স্থির করিলেন যে, তিনিই হরি ও ঈশ্বর।।
💠 কল্কি স্বয়ং ঈশ্বর। 🌿
🌿 এছাড়াও বিষ্ণুপুরাণ, ব্রক্ষ্মান্ডপুরাণ ও অনান্যসকল পুরাণ অনুসারে কল্কিস্বয়ং ঈশ্বর কোনো দূত নন।
🔴এখন যদি মুমিন ভাইগণ দাবি করেন যে, না কল্কি অবতার হলো নবী মোহাম্মদ তবে বলি যে,আপনারা এটাও স্বীকার করে নেন নবী মোহাম্মদই আপনাদের আল্লাহ।
😩😩কি মানবেন তো?
সকল পুরাণ কিন্তু কল্কিকে ঈশ্বর, পরমাত্মা,পরমেশ্বর বলছে ☺☺

কল্কিঅবতার ও নবী মুহাম্মদ


আবির্ভাব সময় অর্থাৎ কল্কি অবতার কখন আসবে তা বিভিন্ন পুরাণ অনুসারে।।
( কল্কি অবতার কখন পৃথিবীতে আসবে)
🔷১. ভাগবত পুরাণ( ১.৩.২৮)ঃ
" অথাসো যুগসন্ধ্যায় দস্যু প্রয়াসু রাজেষু।
জনিতা বিষ্ণুযশসো নাম্না কল্কির্জগৎপতিঃ"।
অনুবাদঃ তারপর যুগসন্ধিকালে ( কলি যুগের শেষে সত্যযুহের শুরুতে) ; অর্থাৎ কলিযুগের অন্তে নৃপতিরা যখন দস্যুপ্রায় হয়ে যাবে,তখন ভগবান কল্কি অবতার নামে বিষ্ণুযশ নামক ব্রাক্ষ্মণের পুত্ররূপে অবতরণ করবেন।
🔷২. পদ্মপুরাণ ( উত্তরখন্ড, ২৪২ অধ্যায় শ্লোক ৮-১০)
"" কলেদির্ব্য সহস্রাব্দপ্রমানস্যান্তপাদয়োঃ।
শম্ভলগ্রামকং প্রাপ্য ব্রাক্ষ্মণঃ সঞ্জনিষ্যতি।।
এই শ্লোকে উক্ত " কলেঃ" ও ""সহস্রাব্দপ্রমানস্যান্তপাদয়োঃ"" শব্দটিতে "" অস্য অন্তপাদয়ো" শব্দগুলো থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়ে যে, কলিযুগের অন্তে বা শেষ দিকে ভগবান শম্ভলগ্রামে ব্রাক্ষ্মণ গৃহে জন্মগ্রহণ করবেন।
🔷৩. ভবিষ্যপুরাণ (২য় খন্ড ১৬/২৮)ঃ ভগবৎ - অবতারাদি বৃতান্ত বর্ণণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- " কলিযুগান্তকে....... কল্কি চ ভবিতাসম্যহম্।।
অর্থাৎ কলিযুগের অন্তে আমি কল্কি অবতার রূপে অবতার রূপে অবতীর্ণ হব।।
🔷৪. বৃহৎনারদীয় পুরাণঃ বৃহন্নারদীয় পুরাণ ( ২/৪০)-
" যুগান্তে পাপিনোহশুদ্ধাংশ্ছিত্ত্বা তীক্ষ্মাসিধারয়া।
স্থাপয়ামসা যো ধর্মং কৃতাদৌ তং নমাম্যহম"।।
অনুবাদঃ যিনি কলিযুগের অন্তে বা শেষে অশুদ্ধ পাপীদের তীক্ষ্ণ খড়্গ দ্বারা ছেদন করে #সত্যযুগের ধর্ম সংস্থাপন করেন,সেই কল্কি অবতারকে নমস্কার করি।।
👉 শব্দটি খেয়াল করুন "" যুগান্তে"" অর্থাৎ কলিযুগের অন্তে বা শেষে কল্কি অবতার আসবে।।
🔷৫.বিষ্ণুপুরাণ (৪.২৪.২৬)ঃ
" শ্রৌতস্মার্তধর্মে বিপ্লববমত্যন্তমুপগতে ক্ষীণপ্রয়াসে।
চ কলাবশেষ জগৎস্রষ্টাশ্চরাচর উত্তরোরদিমরস্যন্তময়স্য সর্বময়স্য ব্রক্ষ্মময়স্যাত্মস্বরূপিনো ভগবতো বাসুদেব স্বাংশঃ সম্ভলগ্রামপ্রধানব্রাক্ষ্মণবিষ্ণুযশসো গৃহে অষ্টগুণৈদ্ধিসমন্তিতঃ কল্কিরূপী জগত্যত্রাবতীর্থ সকলম্লেচ্ছদস্যুদুষ্টাচরণতেচসামশে-ষানামপরিচ্ছিন্নমমাহাত্ম্যশক্তিঃ ক্ষয়ং করিষ্যতি।।
অনুবাদঃ "শ্রৌত ও স্মার্ত ধর্ম অত্যন্ত বিপ্লবপ্রাপ্ত ও #কলিক্ষীণপ্রায় হলে,যিনি চরাচরের গুরু ও আদিভূত, যিনি অন্তময়,সর্বময়,ব্রক্ষ্মময় ও পরমাত্মাস্বরূপ, সেই ভগবান বাসুদেব স্বাংশরূপে শম্ভল গ্রামের প্রধান ব্রাক্ষ্মণ বিষ্ণুযশার গৃহে অষ্টৈশ্বর্যসম্পন্ন, অসীমশক্তি ও মহাত্মাশালী কল্কিরূপে অবতীর্ণ হয়ে ম্লেচ্ছ, দস্যু ও দুরাত্মাদিগের ক্ষয় করবেন।
👉এখানে কলিক্ষীণপ্রায় শব্দটি দেখুন কলিযুগ যখন ক্ষীণ হয়ে আসবে অর্থাৎ শেষ হয়ে আসবে তখন ধর্মের সংস্থাপনের জন্য ম্লেচ্ছ নিধনের মাধ্যমে কল্কি অবতার আসবে।
🔵🔵 এখন কল্কি অবতার কলিযুগের শেষে আসবে এবং ম্লেচ্ছ নিধনের মাধ্যমে পুনরায় সত্যযুগের প্রতিষ্ঠা করবে।।এ ব্যাপারে কল্কিপুরাণ ও অনান্যপুরাণের কথা দেখুনঃ-
🔴১. অগ্নিপুরাণ (১৬/১০)ঃ " ভগবান হরি, কল্কিরূপ ত্যাগ করে, বৈকুন্ঠে গমন করবেন। তখন পুনুরায় সত্যযুগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
🔴২. কল্কিপুরাণ (২৪/৮)ঃ রাজা শশিধ্বজের স্ত্রী সুশান্তা ভগবান কল্কিদেবের আর্বিভাবের মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে বলেছেন--
" আপনার আবির্ভাব সাধুগণের সম্মানবৃদ্ধি, ব্রাক্ষ্মণদিগের অভ্যূথান, দেবগণের রক্ষক,সত্যযুগের পুনঃঅধিকার লাভ,ধর্মের বৃদ্ধি ও কলির নিধন হচ্ছে "।।
🔴. ৩।। এছাড়াও লিঙ্গপুরাণ,ব্রক্ষ্মান্ডপুরাণ, পদ্মপুরাণ ও অনান্য সকল পুরাণ অনুসারে কল্কিঅবতার আসবেন তিনি এসে সত্যযুগ প্রতিষ্ঠা করবেন।
প্রশ্নঃ সত্যযুগ কখন আসবে বা কলি যুগের শেষ কবে হবে?
উত্তরঃ যুগের শেষ কখন হবে তা জানতে হলে আগে আমাদের প্রতিটি যুগের আয়ুষ্কাল সম্পর্কে জানতে হবে।ভাগবত পুরাণের তয় স্কন্ধে বলা আছে।( ছবি নিচে দেওয়া দেখে নিন)
সত্যযুগের আয়ুষ্কালঃ ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার বছর।
ত্রেতাযুগেরঃ ১২ লক্ষ ৯৬ হাজার বছর
দ্বাপরযুগের ঃ ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার বছর
কলিযুগেরঃ ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বছর।
মুমিন ভাইদের বলি যে দাদা কলিযুগের তো সবে মাত্র শুরু হলো অর্থাৎ দ্বাপরযুগ শেষ হলো কৃষ্ণের হাত ধরে আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগে এবং কলি যুগের এখনো বাকি প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার বছর।
হাস্যকর বিষয়টি হলো আপনার অতীতে আসা নবীকেই ভবিষ্যতের কল্কিঅবতার বানায় ফেললেন বাহ্ ভাই বাহ্।
এবারে আমার এই সকল পুরাণের রেফারেন্স খন্ডন করবেন এবং বলবেন যে কল্কি অবতার যে কলিযুগের #শুরুতে আসবে এই কথা আপনি কোথায় পেয়েছেন।
💠 পুরাণ অনুসারে কল্কি ঈশ্বরের দূত নয় ; তিনি স্বয়ং ঈশ্বর, পরমাত্মা বিষ্ণু।
বিভিন্ন পুরাণ অনুসারে এর সপক্ষে বিভিন্ন পুরাণের শ্লোক দেখুনঃ-
♦১.ভাগবত পুরাণ (১২/২/১৭)ঃ"" চরাচরগুরোর্বিষ্ণোরীশ্বরস্যাখিলাত্মনঃ। ধর্মত্রাণায় সাধূনাং জন্ম কর্মাপনুত্তয়ে"।।
অনুবাদঃ হে সুপ্রিয় পরীক্ষিত! সর্ব্যাপী ভগবান বিষ্ণু সর্বশক্তিমান সর্বস্বরূপ হয়ে তিনি বিশ্ব চরাচরের প্রকৃত শিক্ষক, জগৎগুরু।সাধু সজ্জনের ধর্ম রক্ষার জন্য ও তাদের কর্মবন্ধন ছেদন করে জন্ম মৃত্যু আবর্ত থেকে মুক্তি দান হেতু , তিনি স্বয়ং অবতার গ্রহণ করবেন।
💠 এই শ্লোকটি ভালো করে খেয়াল করুন।এখানে বলা আছে চরাচার জগৎের যিনি ঈশ্বর "গুরোর্বিষ্ণোরীশ্বর" ( ১ম লাইনে শ্লোকের #ঈশ্বর শব্দটি দেখুন) সর্বব্যাপী, সর্বশক্তিমান সেই পরমাত্মা বিষ্ণু ধর্ম সংস্থাপন হেতু স্বয়ং অবতার গ্রহণ করবেন।সুতরাং কল্কি দূত নন ; স্বয়ং ঈশ্বর
♦২.ভাগবত পুরাণ (১২/২/১৯)ঃ " অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবত্তং জগৎগতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণাণ্বিতঃ"।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান অষ্টসিদ্ধি ও সকল সদ্ গুণের সর্বশ্রেষ্ঠ আধার।তিনি বিশ্বচরাচরের রক্ষক ও সকলের প্রভু। তিনি দেবদত্ত্ব নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসীন থেকে তরবারি হস্তে দুষ্ট দমন করবেন।
💠 এখানে জগৎপতি বিশ্বচরাচরের রক্ষক ও সকলের প্রভু পরমাত্মা স্বয়ং আসবেন তরবারির দ্বারা দুষ্টদমনে। কোনো দূত নয়।
♦৩. ভাগবত পুরাণ(১২/২/১৬)ঃ "ইথুং কলৌ গতপ্রায়ে জনে তু খরধর্মিণি। ধর্মত্রাণায় সত্ত্বেন ভগবানবতরিষ্যতি।।
অনুবাদঃ হে পরীক্ষিৎ! এর বেশি আর কি বলব! কলিযুগের শেষ প্রান্তে মানুষের স্বভাব গদর্ভসম দুঃসহ হয়ে উঠবে। তারা বস্তুত সংসারের ভারবাহক ও সম্পূর্ণরূপে বিষয়ী হয়ে যাবে। এইরূপ দুঃসহ পরিস্থিতে ধর্মরক্ষা হেতু সত্ত্বগুণ ধারণ করে স্বয়ং ভগবান অবতার গ্রহণ করবেন।
♦৪.ভাগবত পুরাণ (১২/২/২২)ঃ" তেষাং প্রজাবিসর্গশ্চ হুবিষ্ঠ
সম্ভবিষ্যতি।বাসুদেবে ভগবতি সত্ত্বমূর্ত্ত্বৌ হৃদি স্থিতে"।।
অনুবাদঃ তাদের হৃদয় মন্দির পবিত্র হলে সেখানে সত্ত্ববিগ্রহ ভগবান বাসুদেব বিরাজমান থাকবেন যার ফলে তাদের বংশধরগণ পূর্ববৎ বলবান ও সক্ষম দেহধারী হয়ে যাবেন।
💠 এখানে কল্কি অবতার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে এবং কল্কিকে বাসুদেব বলা হইছে। আর এটা আমাদের মনে রাখতে হবে বাসুদেব কথাটি পুরাণে স্বয়ং পরমাত্মা বিষ্ণুর জন্যই লিখা হয়।সুতরাং কল্কিই সেই পরমাত্মা বিষ্ণু ও তিনি স্বয়ং ঈশ্বর ; ঈশ্বরের দূত নন।
♦৫.ভাগবত পুরাণ (১২/২/২৩)ঃ "যদাবতীর্ণো ভগবান্ কল্কির্ধর্মপতির্হরিঃ। কৃতং ভবিষ্যতি তদা প্রজাসূতিশ্চ সাত্ত্বিকী।।
অনুবাদঃ প্রজানয়নরঞ্জন শ্রীহরিই ধর্মের সংরক্ষক। তিনি স্বয়ং প্রভু । সেই শ্রীভগবান যখন কল্কিরূপে অবতরণ করবেন তখনই সত্ত্বযুগের আরম্ভ হবে আর প্রজাগণ স্বাভাবিক ভাবেই বংশপরম্পরায় সত্ত্বগুনসম্পন্ন হয়ে যাবেন।
💠 এখানেও হরি ঈশ্বরের একটি গুণবাচক নাম।আর শ্লোকে কল্কিকে ধর্মপতিহরি বলা হয়েছে।আর শ্লোকে বলা হয়েছে সেই ধর্মের সংরক্ষক ঈশ্বরই কল্কিরূপে অবতরণ করবেন।অর্থাৎ কল্কি স্বয়ং ঈশ্বর।
🔷🔷🔷
এবারে কল্কিপুরাণ থেকে দেখি চলুন।"" কল্কিপুরাণে"" কি বলা হয়েছে কল্কি অবতারের ব্যাপারে ঈশ্বর নাকি ঈশ্বরের দূত ঃ-
🔴🔴প্রথমে কল্কিঅবতারের কারণ দেখুন ঃ-
💠কল্কিপুরাণ (১/২/১-৮)ঃ কলির প্রকোপে অতিষ্ঠ দেবতাদের অনুরোধে ব্রক্ষ্মা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীবিষ্ণুর নিকট গমন করেন এবং শ্রীবিষ্ণু দেবতাদের বলেন যে,""শম্ভল নামক গ্রামে বিষ্ণুযশ নামক ব্রাক্ষ্মণের গৃহে সুমতিনাম্নী ব্রাক্ষ্মণকন্যার পুত্র রূপে শ্রীঘ্রই আমি আবির্ভূত হবো ও কলি ক্ষয় করব।।
💠💠 এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়,যে পরমাত্মা জগৎপতি বিষ্ণু স্বয়ং আসবেন ব্রাক্ষ্মণপুত্র রূপে। কল্কি হয়ে।অর্থাৎ কল্কি স্বয়ং পরমাত্মা বিষ্ণু।
♦♦কল্কিপুরাণ ( ২/৪/১)ঃ ( এখানে সূত জীর প্রশ্নের উত্তরে ভগবান কল্কি তাকে বলছেন নিজের সমন্ধে)
☀ কল্কিরুবাচ...
"কালেন ব্রক্ষ্মণো নাশে প্রলয়ে ময়ি সঙ্গতাঃ।অহমেবাসমেবাগ্রে নান্যৎ,কার্য্যমিদং মম।।২।।
অনুবাদঃ কল্কি কহিলেন। যে সময় মহাপ্রলয় উপস্থিত হইবে,যখন ব্রক্ষাও বিলয় প্রাপ্ত হইবেন,তখন সমুদয় আমাতেই লীন থাকিবে।পূর্বে কেবল আমিই ছিলাম,আর কিছুই ছিল না,ব্রক্ষ্মা প্রভৃতি সমুদায় জীব ও সমুদয় পদার্থ আমা হইতেই সৃষ্ট হইয়াছে।
🌿🌿কল্কি এখানে কি বলছে 👆👆 পড়ুন।আর মগজে সান দিন।
♦ কল্কিপুরাণ(৩/৮/৫)ঃ "নাথ কান্তং জগন্নাথং সর্ব্বান্তর্যামিনং প্রভুম্।কল্কিং নারায়ণং সাক্ষাৎ কথং ত্বং প্রহরিষ্যসি।।
অনুবাদঃ নাথ! যিনি জগতের নাথ জগতের প্রার্থনীয় সর্ব্বান্তর্যামী প্রভু সাক্ষাৎ নারায়ণ, সেই কল্কিকে আপনি কি রূপে প্রহার করিবেন।
💠 এখানে দেখুন "" কল্কি""কে কি বলা হচ্ছে ১. সর্ব্বান্তর্যামী প্রভু তথা নারায়ণ অর্থাৎ 🌿অন্তর্যামী ঈশ্বর।
♦♦ কল্কিপুরাণ(৩/১/৩১-৩৩)ঃ""..... .. কল্কি পরমাত্মকঃ।
কাল স্বভাবসংস্কার- নামাদ্যা প্রকৃতিঃ পরা।যস্যেক্ষয়া সুজত্যন্তুং মহাহহংকারকাদিকান্। যন্ময়য়া জগতযাত্রা সর্গস্থিত্যন্তসঙ্গিতা।
য এবাদ্যঃ ম এবান্তে তস্যায়ং সোহয়মীশ্বরঃ""।।
💠অনুবাদঃ "কল্কিই সেই পরমাত্মা।তার ইচ্ছা অনুসারেই কাল স্বভাব সংস্কার, নাম প্রভৃতির আদিভূত পরম প্রকৃতি, মহতত্ত্ব অহংকারতত্ত্ব প্রভৃতি সমুদয় ব্রক্ষ্মান্ড সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টি- স্থিতি- প্রলয়রূপ জগৎপ্রপঞ্চ তারই মায়া ভিন্ন আর কিছু নয়।তিনি সকলের আদি, তিনিই সকলের অন্ত।তার থেকেই জগতের সমুদয় শুভ সংঘটিত হচ্ছে। সেই ঈশ্বর তিনিই( কল্কি)""।।
🌿🌿 দেখুন ভাল করে কে এই কল্কি। তিনি স্বয়ং ঈশ্বর, পরমাত্মা কোনো দূত নন।
♦ কল্কিপুরাণ( ২/৩/১৭)ঃ" রাজানঃ স্ত্রীত্বমাপন্না পদ্মায়া সখিতাং গতাঃ। দুষ্টুং সমীয়ুঃ স্ত্বরিতাঃ কল্কিং বিষ্ণুং জগৎপতিম্।।
অনুবাদঃ যে সকল রাজা নারীর অবয়ব প্রাপ্ত হইয়া পদ্মা সখী হইয়াছিলেন, তাহারা ত্বরান্বিত হইয়া জগৎপতি বিষ্ণু তথা কল্কিকে দেখিবার জন্য আগমন করিলেন।।
🔵এখানে কল্কি স্বয়ং পরমাত্মা বিষ্ণু ও জগৎপতি।
♦ কল্কিপুরাণ(৩/৪/৩১)ঃ"" ইত্যাশ্বাসকথাঃ কল্কেঃ শ্রুত্বাতৌ মুনিভিঃ সহ। বিস্ময়াবিষ্টহৃদয়ৌ মেনতে হরিমীশ্বরম"।।
অনুবাদঃ মরু দেবাপি ও মুনিগণ, কল্কির এই আশ্বাস বাক্য শ্রবণ করিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হৃদয় হইয়া নিঃসংশয় রূপে স্থির করিলেন যে, তিনিই হরি ও ঈশ্বর।।
💠 কল্কি স্বয়ং ঈশ্বর। 🌿
🌿 এছাড়াও বিষ্ণুপুরাণ, ব্রক্ষ্মান্ডপুরাণ ও অনান্যসকল পুরাণ অনুসারে কল্কিস্বয়ং ঈশ্বর কোনো দূত নন।
🔴এখন যদি মুমিন ভাইগণ দাবি করেন যে, না কল্কি অবতার হলো নবী মোহাম্মদ তবে বলি যে,আপনারা এটাও স্বীকার করে নেন নবী মোহাম্মদই আপনাদের আল্লাহ।
😩😩কি মানবেন তো?
সকল পুরাণ কিন্তু কল্কিকে ঈশ্বর, পরমাত্মা,পরমেশ্বর বলছে ☺☺

Posted at June 24, 2021 |  by Arya ঋষি

0 Comments:

Tags

Text Widget

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation test link ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

Blog Archive

© 2013 Arya Rishi. WP Theme-junkie converted by Bloggertheme9Published..Blogger Templates
Blogger templates. Proudly Powered by Blogger.
back to top