আল্লাহ

Posted by Arya ঋষি  |  at  February 06, 2019 No comments

আল্লাহ তালাহ- একটি অশুভ বদরাগী অসুখী চরিত্র


সেইদিন হোম পেইজে কীভাবে জানি ঘুরে ঘুরে একটা পোস্ট আমার নজরে পড়ে গেল। বিষয়বস্তু হচ্ছে, পোস্টের লেখক সবাইকে জানাচ্ছেন, ক্রিকেট খেলা দেখে জিতে যাওয়ার আনন্দে আত্মহারা হয়ে খুশী প্রকাশ করা ইসলামের দৃষ্টিতে উচিত কাজ নয়। ফেইসবুকে এরকম খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা গর্হিত কাজ। মুসলমানদের উচিত মৃত্যুর পরে কী হবে তা ভেবে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা। খেলায় জিতে তা নিয়ে আনন্দ করা, খুশি হওয়া, তা আবার প্রকাশ করে ফেলাতে আল্লাহ নাখোশ হতে পারেন। মুসলমানদের সব সময়ই মৃত্যু ভয়ে ভীত এবং দোজখের ভয়ে আতঙ্কিত থাকা উচিত!
আমি মন দিয়েই লেখাটি পড়লাম। মুমিন মুসলমানদের লেখা আমার কাজের জন্যেই মন দিয়ে পড়তে হয়। তাদের মনের গঠন বোঝার জন্য। তাদের বুদ্ধিমত্তা বোঝার জন্য। আপনি কী এই ধরণের লেখা আগে পড়েছেন? আমি নিশ্চিত, আপনার চোখেও হয়তো পড়েছে।

আল্লাহ চরিত্রটি নিয়ে একটু ভেবে দেখুন। খুবই অসুখী, হীনমন্য, ছোটলোক এবং পাছায় লেগে থাকা একটি চরিত্র। আপনি খাচ্ছেন নাকি ঘুমাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠলেন কিংবা প্রশাব করতে গেলেন, আপনি বাসা থেকে বের হচ্ছেন নাকি বাসায় ফিরছেন, প্রতিটা পদক্ষেপে আপনার ওপর তার কড়া নজরদারি। আপনি ডানদিকে কাত হয়ে শুচ্ছেন নাকি বা দিকে, আপনার প্যান্ট টাখনুর কতটুকু ওপরে রয়েছে, আপনি প্রশাব করার পরে ঢিলা কুলুপ করেছেন কিনা, আপনি স্ত্রীর সাথে প্রেম করার পরে ফরজ গোছল করেছেন কিনা, মানুষের জীবনে এমন কোন সময় নেই যেই সময়ে সে খবরদারি করতে আসবে না। সে চাইবে আপনি তাকে সর্বক্ষণ ভয় পান, ভীত আতঙ্কিত হয়ে জীবন কাটান। কান্নাকাটি করেন। আপনি যদি মনের সুখে হাসেন, বা কাঁদেন, সব জায়গাতেই তার অনেক সমস্যা। সেই চায় একদম গৃহপালিত দাস, যে সর্বক্ষণ তার তোষামোদ করতে ব্যস্ত থাকবে।

ভাবুন তো, আপনার সন্তানের কথা। আপনি কেমন মানুষ তা জানি না। তবে আমি আমার সন্তানকে চাইবো সবসময় হাসিখুশী। আনন্দ করা একজন সুখী মানুষ হিসেবে। সে আমার ভয়ে সারাক্ষণ ভীত হয়ে থরথর করে কাঁপবে, আমার পিটানির ভয় আতঙ্কিত থাকবে, এরকম হলে তাতে তার মানসিক বৃদ্ধি ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সে হয়তো ছোটখাটো ভুল করে ফেলবে, কিন্তু আমি তাকে আদর করে বোঝাবো। ভুল তো হবেই, কিন্তু সে তো আমার সন্তানই। তাকে মানুষের অধিকারের কথা বোঝাবো, মানবতাবাদ শেখাবো। সব মানুষের সমান অধিকার এবং সমান মর্যাদা, এরকম তাকে ছোট বেলা থেকেই শিক্ষা দেবো। তাকে বলবো না, সে দুষ্টুমি করলে তাকে আমি মাইক্রো ওয়েভে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পোড়াবো। এইসব বর্বর কায়দায় অত্যাচারের কথা বললে কেউ কোনদিন উন্নত চরিত্রের মানুষ হতে পারে না। আজকে আমি যদি তাকে এরকম বর্বর ভয় দেখাই, তার মাথায় এগুলো ঢুকে যাবে। এই বর্বরতা পরবর্তী জীবনে সে চর্চা করবে।

উন্নত বিশ্বে নানা মানসিক গবেষনায় দেখা গেছে, ছোটবেলা যেই সব শিশুদের ওপর অত্যাচার বেশি হয়, বা ভয় দেখানো হয়, তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা তুলনামূলক বেশি হয়। তাদের মধ্যে এক ধরণের জেদ কাজ করে। আপনি ছোটখাটো ভুলের জন্য আপনার সন্তানকে মারধোর করলে বা ভয়ঙ্কর রকমের ভয় দেখালে সে ক্রমশ জেদি হয়ে উঠবে। তখন জেদ করেই সেই নিষিদ্ধ কাজটি সে বারবার করতে চাইবে। তার মনের মধ্যে থাকবে সেই কাজটি করার আগ্রহ। কিন্তু ভয়ের কারণে সে হয়তো কিছুদিনের জন্য তা করবে না, তবে তার মনে সেটা চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে যাবে।

আল্লাহ পাক কোরআনে বলছেন, আল্লাহ হচ্ছেন প্রতিশোধ গ্রহণকারী। এর মানে কী? তুচ্ছ মানুষের ওপর আল্লাহ প্রতিশোধ নেন? কী হাস্যকর!

■ আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী
কুরআন ৩ঃ৪

■ আল্লাহ বলছেন, তিনি ভীতি প্রদর্শক, ভয় প্রদর্শক। এর মানে কী? আল্লাহ ভয় দেখান? আল্লাহ কী ভুত?
আর বলুনঃ আমি প্রকাশ্য ভয় প্রদর্শক।
কোরআন  ১৫ঃ৮৯

আল্লাহ কী ক্ষেপে গেলে হুমকিধামকি দেয়া শুরু করেন? সামান্য মানুষের চুল ধরে টেনে হিচড়ে নেয়ার হুমকি দেন?

■ কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই
কোরআন ৯৬/১৫-১৬

■ আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।
কোরআন ৩৫ঃ৩৬

■ সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।
কোরআন ৯ঃ৩৫

■ আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব।
কোরআন ৬৮ঃ১৬

■ …তাদের জন্যে উত্তপ্ত পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে-কুফরের কারণে।
কোরআন ৬ঃ৭০

আল্লাহ পাক তোষামোদ এর ভালবাসেন কেন? নিজেই নিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ?

■ হে মূসা, আমি আল্লাহ, প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়
কোরআন ২৭:৯

■ হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর গলগ্রহ। আর আল্লাহ; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
কোরআন ৩৫ঃ১৫

■ আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান
কোরআন ১২ঃ৫৫

■  আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
কোরআন ১১২ঃ২-৪

■ অতএব সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদ আল্লাহর উপরে বর্ষিত হোক, কারণ তিনিই জগতের প্রভু।
কোরআন ৪৫ঃ৩৬

■ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
কোরআন ৫ঃ১২০

কোরআন আরো ভালভাবে বুঝে বুঝে পড়ে দেখুন। আল্লাহ এখানে একে অভিশাপ দিচ্ছে তো সেখানে তাকে হুমকি দিচ্ছে! কী অদ্ভুত রকমের হিংস্রতা তার মধ্যে। কাফের মারো অমুককে জোড়ায় জোড়ায় কাটো তমুকের গলায় রশি বাধো অপমান করে জিজিয়া কর আরোপ কর তাদের দাস বানাও, কত্ত কিছু। আর হচ্ছে মুহাম্মদকে বলতে থাকবে, বিয়ে কর বিয়ে কর। যেন মুহাম্মদের একের পর এক বিয়ে ছাড়া দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। আল্লাহ চরিত্রটি আমাদের দেশের মাদ্রাসার শিক্ষকদের মতই, প্রাগৌতিহাসিক একটি অশুভ চরিত্র। আমি এমন কোন হাদিস বা আয়াত পড়ি নি, যেখানে আল্লাহকে কেউ হাসতে শুনেছে। তার মনে কোন আনন্দ নেই। যার মনে আনন্দ নেই, সে একটি অশুভ চরিত্রই বটে। মনে হয় যেন, সরকারী অফিসের কর্মচারী, যে বৌয়ের সাথে সারারাত ঝগড়া করে অফিসে এসেছে। নাক মুখ কুচকে বসে আছে। কোন আনন্দ নেই, কোন খুশি নেই যার মনে। বা বাসার কমবয়সী বাচ্চা ছেলেটি, যাকে তার পছন্দের খেলনাটি কিনে দেয়া হয় নি। তাই রাগ করে বসে আছে। আর তাকে কেন কেউ পাত্তা দিচ্ছে না, তা নিয়ে অভিযোগ করছে। আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা এক অশুভ সত্ত্বা যেন, যে সবচাইতে বেশি এটেনশোন সিকার। সকলের এটেনশনের জন্য সে মুখিয়ে থাকে। বদমেজাজি, ছোট খাট ভুল নিয়ে হাউমাউ করা একটি ছোটলোক টাইপ চরিত্র। একটি বদরাগী চরিত্র। সারাক্ষণ নিজের প্রশংসা শুনতে চাওয়া নিজের তোষামোদ পছন্দ করা বিশ্রী চরিত্র। যে আমার ফেইসবুকের কোন একটি খুশির পোস্ট দেখে আমাকে কয়েক লক্ষ বছর আগুণে ফ্রাই করবেন। আমি কোনদিকে কাত হয়ে ঘুমাচ্ছি, আমার বউকে চুমু দেয়ার সময় তার নাম নিচ্ছি কিনা, এইসব কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে রাগে জ্বলতে থাকে! সিরিয়াসলি? কাম অন, গেট এ লাইফ অ্যাসহোল!

অশুভ বদরাগী

যেমন ধরুন মা কালী চরিত্রটি। এই দেবীর ছবি দেখলেই আমার ঘেন্না পায়। কিরকম বিশ্রী এবং অশুভ একজন দেবী চরিত্র! এরকম দেবীর পুজা কেউ কীভাবে করে, তা আমার মাথায় আসে না। জিহবা বের করে অস্ত্র হাতে একটা কাটা মাথা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! কী মারাত্মক ব্যাপার।

ঢাকায় থাকার সময় বাসে ট্রেনে উঠলেই এরকম অসুখী চরিত্রগুলো চোখে পড়তো। মুখে কখনো হাসি নেই। চোখে চোখ পড়লেই কেমন ভয়াবহ আগুন দৃষ্টিতে তাকাতো। মনে হতো এই মারবে বুঝি। গায়ে অল্প ধাক্কা লাগলেই মারতে আসতো। বাসের হেলপার ড্রাইভারকে সারাক্ষণ গালাগালি করতো। এক টাকা বেশি ভাড়া চাইলেই চড় মেরে বসতো। অসুখি এবং মানসিকভাবে অপরিণত! ইউরোপে দেখেছি, বাসে ট্রেনে বেশিরভাগ মানুষ হাসি মুখে উঠবে। চোখে চোখ পড়লেই মিস্টি করে একটা হাসি দেবে। ছেলে হোক বা মেয়ে, বেশিরভাগ সময়ই এরকম হবে। মাঝে মাঝে এরকম অসুখি চেহারাও চোখে পড়ে। তারা হাসে না। কেমন কড়া দৃষ্টিতে তাকায়। তখন আমরা ভাবি, হয়তো মানুষটার বাসায় কোন সমস্যা হয়েছে। বা বৌ বা স্বামী বা পার্টনারের সাথে ঝগড়া করেছে। আমরা অবাক হই। আল্লাহ চরিত্রটি তার চাইতেও অনেক ভয়াবহ মাত্রার মানসিক অসুস্থতার শিকার। ওল্ড টেস্টামেন্টের বদমাজাজী ঈশ্বরের মতই ইসলামের আল্লাহও একজন অসুখী মানুষের অশুভ চিন্তার ফসল।

আপনি ভাবতে পারেন, মহাবিশ্বের অসংখ্য গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র স্পেস টাইম অসংখ্য বড় বড় ধুমকেতু জানা অজানা কতকিছু যে সৃষ্টি করেছে, সে মুসলমানদের ফেইসবুক পোস্ট পড়ে দেখছে যে কেউ ক্রিকেট খেলার আনন্দে খুশি প্রকাশ করছে নাকি মৃত্যুর ভয়ে কান্নাকাটি করছে? খুশী প্রকাশ করলে সে ক্ষেপে যাচ্ছে, আর কান্নাকাটি করলে খুশী হচ্ছে?

কাম অন, গেট এ লাইফ! অ্যাসহোল!

আসিফ মহিউদ্দীন 

About the Author

Write admin description here..

Get Updates

Subscribe to our e-mail newsletter to receive updates.

Share This Post

Related posts

0 Comments:

Tags

Text Widget

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation test link ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

Blog Archive

© 2013 Arya Rishi. WP Theme-junkie converted by Bloggertheme9Published..Blogger Templates
Blogger templates. Proudly Powered by Blogger.
back to top