প্রশ্নঃ এক নারীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে - তা কমাতে জয়নাব (রা) এর সাথে সহবাস করেন নবী মুহাম্মদ (সা) ?

Posted by Arya ঋষি  |  at  June 02, 2020 No comments


লিখেছেনঃ এম ডি আলী

উত্তরঃ যেই হাদিস দ্বারা ইসলাম বিদ্বেষীরা মিথ্যাকথা বলে, আসুন মনোযোগের সাথে হাদিসটি পড়ে নেইঃ

* বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারঃ সহিহ মুসলিম ৫/ ৬ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৩২৭১ : জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত , রাসুল (সা) একটি স্ত্রীলোক দেখতে পেলেন । তিনি তাঁর স্ত্রী জয়নাবের কাছে গেলেন, তখন তিনি এক টুকরো চামড়া পাক করছিলেন । তিনি তাঁর কাছ থেকে নিজের প্রয়োজন পুরন করলেন । অতপর তিনি সাহাবাদের কাছে এসে বললেন , স্ত্রীলোক শয়তানের বেশে আগমন করে এবং শয়তানের বেশে চলে যায় , অতপর তোমাদের কারো দৃষ্টি কোন স্ত্রীলোকের ওপর পড়লে সে যেন নিজের স্ত্রীর কাছে আসে । কেননা এটিই তাঁর অন্তরের কামনাকে দমন করতে পারে ।

নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ এবং উপরের হাদিস আমাদের কি শিক্ষা দেয়ঃ

১/ আমরা জানি নবী মুহাম্মদ (সা) একজন মানুষও ছিলেন । যেমন কুরানের, সুরা হামিম সিজদাহ ৬ নং আয়াতে আছেঃ বলুন আমিও তোমাদের মতই একজন মানুষ পার্থক্য শুদু আমার কাছে ওহী আসে । যেহেতু নবী মুহাম্মদ (সা) একজন মানুষও ছিলেন তাই তাঁর মধ্যে মানবীয় গুনাবলি থাকাই স্বাভাবিক ব্যাপার ।

২/ নবী মুহাম্মদ (সা) আমাদের শিক্ষক তাই তিনি আমাদের শিক্ষা দিলেন যে কোন নারীকে হটাত দেখলে হটাত যদি কোন পুরুষের মধ্যে কামভাব আসে তাহলে উত্তম পন্থা হল নিজের স্ত্রীর কাছে চলে যাওয়া ।এতে তার মধ্যে যেই ভাব আসছে সেটা সাথে সাথে দূর হয়ে যাবে । আর এটা এক বাস্তব কথা হল নারীদের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবেই এটা স্বাভাবিক । হটাত একজন নারীকে দেখে পুরুষের মধ্যে কামভাব আসতেই পারে যদি কোন পুরুষের এর বেতিক্রম হয় তাহলে তার পুরুষত্বে ফেলাসি আছে ! তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া মানবতার দাবি ! চিকিৎসা বিজ্ঞানও তাই বলে ।

৩/ কোন পুরুষের মাঝে নারীকে দেখে হটাত কামভাব আসলে সে যদি সাথে সাথে তার স্ত্রীর কাছে চলে যায় তাহলে আর পরকীয়ার মত ভয়াবহ অপরাধ থেকে বেচে যাবে । নিঃসন্দেহে । আর এতে নিজের সংসার সুখের হবে ।

৪/ উপরের হাদিস নিয়ে বিদ্বেষীরা আপত্তি তুলে - নবী নাকি নারীকামী ছিলেন - কিন্তু আমরা দেখলাম , বুঝলাম যে উপরের ঘটনা হটাত ঘটেছে , মানে নারীকে দেখে হটাত মনে কামভাব এসেছে - স্বাভাবিক । এই অভিযোগ থেকে প্রমানিত হল নাস্তিক ধর্মান্ধরা অক্ষম কারন তাদের নারীদের প্রতি কোন আকর্ষণ নাই এর জন্যই তো তারা সমকামী । আশা করি সোজা হিসাব বুঝতে পেরেছেন ।

৫/ স্ত্রীলোক শয়তানের বেশে আগমন করে এবং শয়তানের বেশে চলে যায় - এর মানে কি ? উত্তর হলঃ এর দ্বারা স্ত্রীলোকের মাধ্যমে শয়তান পুরুষদের কুমন্ত্রণা দেয় আবার স্ত্রীলোকের বেশেই চলে যায় এটাই বুঝানো হয়েছে অর্থাৎ মনের কুপ্রবৃত্তিকে বুঝানো হয়েছে ।

৬/ হটাত খেয়াল আসে নবী মুহাম্মদ (সা) এরঃ ই,ফা, সহিহ বুখারি ১/ ১৬৮ পৃষ্ঠা , হাদিস নং ২৯৬: আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন তোমাদের মধ্যে নবী (সা) এর মত কাম প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে ? অর্থাৎ রাসুল (সা)ই সব থেকে বেশি নিজের কাম প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখেন ।

৭/ নবী মুহাম্মদ (সা) নারীকামী ছিলেন না এর প্রমান "মুহান্নাফে আবি শাইবা, সিরাতুন্নবি , এছাড়া অন্য সিরাত এর কিতাব দেখুন" মুশরিক উতবাহ ইবনে রাবিআ রাসুল (সা) নারী , নেতৃত্ব ও সম্পদের অফার দেয় তখন রাসুল (সা) এসব সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করেন ।

৭/পরকীয়া রোধের মহা ঔষধ - বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারঃ সহিহ মুসলিম ৫/ ৮ পৃষ্ঠা , হাদিস নং ৩২৭৩: জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) বলেছেন, আমি নবী মুহাম্মদ (সা) কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কারো মনে কোন স্ত্রীলোক দেখে মনে কিছু উদয় হলে, তাহলে সে যেন তাঁর নিজের স্ত্রীর কাছে যায় এবং তাঁর সাথে মিলিত হয় কারন এতে তাঁর মনের বিশেষেভাব দূর হবে ।

About the Author

Write admin description here..

Get Updates

Subscribe to our e-mail newsletter to receive updates.

Share This Post

Related posts

0 Comments:

Tags

Text Widget

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation test link ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

Blog Archive

© 2013 Arya Rishi. WP Theme-junkie converted by Bloggertheme9Published..Blogger Templates
Blogger templates. Proudly Powered by Blogger.
back to top